আঞ্চলিক: নেপালে স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক পরিগঠন


চার বছর ধরে জমে থাকা দায় শোধ করতে হবে দ্রুত

  • সাবেক গেরিলা যোদ্ধাদের সন্তোষজনক বেসামরিক জীবনযাত্রা অনিশ্চিত
  • সেনাবাহিনীর গণতন্ত্রায়ন ও নির্বাচিত মন্ত্রীসভার অধীন করার বিষয়ে অগ্রগতি হয় নাই
  • রাষ্ট্রের চরিত্র ও কাঠামোর বিষয় এখনো অমীমাংসিত

সুরাহা করতে হবে চার বছর ধরে জমে থাকা সমস্যা

নেপালের সাংবিধানিক পরিষদ এখন সংবিধান প্রণয়নে আরো একবছর সময় পাচ্ছে--গত আটাশে মে’তে অন্তর্বর্তী সংবিধানে সংশোধনী আনার ফল হিশাবে। কিন্তু নয়াদিল্লীতে স্বাক্ষরিত বারো দফা শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন এখনো অনেকদূর বাকি। নতুন সংবিধানের নানা প্রশ্নে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলটির সাথে বাকিদের বিরোধের সুরাহা হওয়ার কোনো লক্ষণ নাই। অন্যদিকে প্রতিবেশি ইনডিয়ান ইউনিয়ন দেশটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছে মাওবাদীদের রাজনৈতিকভাবে দুর্বল করার বিষয়টাতে--সেক্ষেত্রে এসব বিষয়ে যদি নেপালের রাজনৈতিক দলগুলো পরিস্কার অবস্থান নিতে পারে, সমঝোতায় পৌঁছতে না পারে তবে নিয়মিত সাংবিধানিক গণতন্ত্রে ফিরতে এই বাড়তি একবছর কোনো কাজে দেবে না। সেক্ষেত্রে এই বাড়তি একটা বছর শুধুই নেপালিদের নিত্য অনিশ্চয়তার জীবনযাপনে আরো তিনশ পয়ষট্টি দিন যোগ করবে।

সাবেক মাওবাদী গেরিলাদের সেনাবাহীনিতে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে বর্তমান সেনাপ্রধানের নারাজি এবং সেনাপ্রধানের অবস্থানের প্রতি নেপালি কংগ্রেস থেকে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি রাম বরণ যাদবের সমর্থনের পটভূমিতেই মূলত মাওবাদী কমিউনিস্ট দলটির প্রধান পুষ্প কমল দাহাল ওরফে প্রচন্দের অন্তর্বর্তী সরকার প্রধানত ক্ষমতা ছেড়ে দাঁড়ায়। যেই পদত্যাগের সূত্র ধরেই অচলাবস্থার শুরু হয়; এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রের ভবিষ্যত চরিত্র ও কাঠামো নির্ধারণ --স্থায়ী সংবিধান প্রণয়নের কাজ আটকে আছে। প্রায় সবগুলা সমস্যাই আগের মতো এখনো রয়ে গেছে এখনো। সাবেক গেরিলাদের মধ্যে যারা নিয়মিত সেনাবাহীনিতে যোগ দিতে চায় তাদের সে সুযোগ করে দেয়া, পাশাপাশি সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব অক্ষুণ্ন রাখার সাথে সাথে এটাকে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান হিশাবে গড়ে তোলা এবং বেসামরিক জীবন যাপন করতে ইচ্ছুক সাবেক গেরিলাদের সন্তোষজনকভাবে নিশ্চিত করার প্রশ্নে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে দ্রুত। নির্বাহী প্রক্রিয়ার মধ্যে এসব উদ্যোগ বাস্তবায়ন করার পথ তালাশ করতে হবে। মধ্যাঞ্চলের সমতলের মাদেশী সম্পদ্রায় সহ নানা পৃথক জনগোষ্ঠীর ন্যায্য জায়গা ঠিক রেখে নতুন সংবিধান প্রণয়নের কাজ শুরু করতে হবে। রাষ্ট্রকাঠামো কেমন হবে বা তার চরিত্রের সম্ভাব্য ধরনের বিষয়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলার মধ্যে যে মতবিরোধ সে বিষয়ে ফায়সালা করতে হলে প্রয়োজনে সাংবিধানিক পরিষদের বাইরেও রাজনৈতিক দলগুলোকে দরকষাকষিতে যেতে হবে।

নিয়মিত সেনাবাহিনীর পুনর্গঠন ও সাবেক গেরিলাদের পুনর্বাসন

বারো দফা শান্তি চুক্তি সেনাবাহিনী মানছে না বলে অভিযোগ মাওবাদীদের। তারা একদিকে মাওবাদী পিপলস লিবারেশন আর্মি বা জনমুক্তি সেনাবাহীনির সাবেক সদস্যদের সেনাবাহীনিতে অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছে, অন্যদিকে রাষ্ট্রপতির বদলে মন্ত্রীসভার কাছে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করতে চাইছে। বর্তমানে দেশটির সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক হন রাষ্ট্রপতি। পাশাপাশি মাওবাদীদের দাবি হচ্ছে দুইহাজার ছয়ের আটই নভেম্বর স্বাক্ষরিত বারোদফা শান্তি চুক্তি অনুযায়ী দেশটির সেনাবাহিনীকে রাজতান্ত্রিক চরিত্র থেকে বের করে আনতে। চুক্তি অনুযায়ী কথা ছিল--গেরিলারা যে পরিমাণ অস্ত্র জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে জমা দেবে তার সমান পরিমাণ অস্ত্র নেপালি সেনাবাহিনীকেও জমা দিতে হবে। আধুনিক দুনিয়ার এমন কোনো সংঘর্ষ পরবর্তী শান্তি প্রক্রিয়ায় এই নজির নাই যে, রাষ্ট্রীয় বাহিনী অস্ত্র সমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছিল। চুক্তিটির এই চার অনুচ্ছেদের ছয় উপঅনুচ্ছেদ যে, নেপালের মাওবাদী কমিউনিস্ট দলের জন্য এটা একটা বিশাল কূটনৈতিক ও কৌশলগত বিজয়, তাতে সন্দেহ নাই। কিন্তু সাতদলীয় জোট যেভাবে তখন এই শর্তে মাওবাদীদের সাথে চুক্তিতে রাজি হয়েছিল--সেটাকে নেপালি সেনাবাহিনী ভালোভাবে নেয় নাই।

কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে রাজতন্ত্রের একান্ত অনুগত নেপালি সেনাবাহিনীর জন্য ওই সময়টা মোটেই সুবিধার ছিল না। একদিকে শান্তি প্রক্রিয়ার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রধান ইওরোপীয় শক্তিগুলো এবং চীনের প্রবল সমর্থন এবং ইনডিয়ার সায়, অন্যদিকে তখনকার প্রধানমন্ত্রী গিরিজা প্রসাদ কৈরালার ছাড় দেয়ার পক্ষে অবস্থান নেয়ায় সেনাবাহিনীর কিছুই করার ছিল না। তাছাড়া একই অনুচ্ছেদের পরবর্তী উপঅনুচ্ছেদ (৪.৭) অনুসারে নেপালি সেনাবাহিনীর ‘গণতন্ত্রায়নের’র জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল অন্তর্বর্তী মন্ত্রীসভাকে। মন্ত্রীসভা একটি বেসামরিক কমিশন কায়েম করে পরে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ, পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে। এই অনুচ্ছেদ অনুসারে সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ কাঠামো ও নতুন সদস্য সংগ্রহের পুরা প্রক্রিয়া যাতে জাতীয়ভাবে বৈষম্যহীন ও গণতান্ত্রিক এবং সর্বজনীন মানবাধিকারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী মন্ত্রীসভার সদস্যদের নিয়া গঠিত কাউন্সিলের কাজ করার কথা থাকলেও, খুব কম কাজই হয়েছে। কারণ নির্বাচনে মাওবাদীদের বিজয়ের পর অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো বিষেশত নেপালি কংগ্রেস থেকে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতির সুবাদে সেনাবাহিনী এসব কাজে সরকারের সাথে অসহযোগিতা করতে শুরু করে।

nepalএকটা ’নয়া জনগণতান্ত্রিক নেপাল’ প্রতিষ্ঠার ডাকে এসব মাওবাদী গেরিলা দশককাল ধরে সশস্ত্রজীবন যাপন করেছেন; পরে প্রচন্দসহ অন্য নেতারা দলের সিদ্ধান্তের আলোকেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে এসেছেন যে, জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণমূলক গণতান্ত্রিক রাজনীতির মধ্য দিয়ে তারা তাদের দলীয় আদর্শ কায়েম করবেন রাষ্ট্রে। এখন সেই গেরিলাদের যদি রাষ্ট্রীয় সেনাবাহিনীতে আত্তীকরণ করা না যায় বা ইচ্ছুকদের যদি সন্তোষজনক বেসামরিক জীবন নিশ্চিত করা না যায়, সেক্ষেত্রে এই সাবেক যোদ্ধারা শুধু গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে আসা মাওবাদী দলের জন্যই সমস্যা হবে না, বরং শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জন কষ্টকর হয়ে উঠবে তাদের পুনর্বাসন করা না হলে। অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য পেশাদার সেনাবাহিনীর বিকল্প নাই, কাজেই সেনাবাহিনীর সাবেকি রাজতান্ত্রিক প্রাতিষ্ঠানিকতা মাথায় রেখে সংস্কার কাজ না চালালে সেটাও ঝুঁকিপূর্ণ হবে। কাজেই শান্তিচুক্তির আলোকে এই আত্তীকরণ যাতে সম্ভব হয় সে বিষয়ে আগামী অন্তবর্তী সরকার যদি দ্রুত কাজ না করে তবে মাওবাদীদের তরফে আবারো অনিশ্চয়তা নিশ্চিত। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলাকে অবশ্যই সেনাবাহিনী ও সাবেক গেরিলাদের বিষয়ে আগের অবস্থান থেকে যদি সরে না আসে তবে অনিশ্চয়তা কাটবে না।

রাষ্ট্রের চরিত্র ও কাঠামোর ধরনে বিতর্কে নতুন মাত্রা

স্থায়ী সংবিধান প্রণয়নের আলোচনার শুরু থেকেই অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে দুইটা--নেপালের সংযুক্ত মার্কসবাদী লেনিনবাদী কমিউনিস্ট দল ও নেপালি কংগ্রেস বরাবর মাওবাদীদের প্রস্তাবিত রাষ্ট্র-ধারণার ও কাঠামোর বিরোধিতা করে আসছে। বিশেষ করে গতবছর মাওবাদী নেতা প্রচন্দের একটি গোপনীয় ভিডিও বক্তৃতা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে গেলে পরে রাজনৈতিক দলগুলা তাদের বিরোধিতাকে আরো জোরালো করতে জনসম্মুখে এই ঘটনাটিকে ব্যবহার করতে শুরু করে। ওই বক্তৃতায় সাবেক গেরিলা নেতা তার কর্মীদের বলছিলেন যে, বর্তমানে তার দলের এইসব গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়া একটা কৌশলমাত্র, তার দল চূড়ান্তভাবে সশস্ত্র উপায়ে মাওবাদী বিপ্লবের দিকেই এগোচ্ছে।

এখন, নতুন করে সাংবিধানিক পরিষদের মেয়াদ বাড়ানোর বিলে সমর্থন দেয়ার পরদিনই--গতকাল ঊনত্রিশে মে’তে কাঠমান্ডুতে জনসভা করে যেই প্রস্তাবিত সংবিধানের বিষয়ে খসড়া প্রস্তাব প্রকাশ করেছে--তাতে এটা স্পষ্ট যে, মাওবাদী দলটা তার আগের অবস্থান থেকে বিন্দুমাত্র সরে আসে নাই। প্রস্তাবে তারা নেপালকে একটা ‘পিপলস ফেডারেল রিপাবলিক’ হিশাবে দেখতে চাইছে। মাওবাদীদের প্রস্তাব অনুসারে ফেডারশেনর স্তর হবে চারটা--কেন্দ্রীয়, রাজ্য, স্থানীয় ও বিশেষ প্রশাসনিক এলাকা। মোট বারোটি রাজ্যের প্রস্তাব করেছে দলটা। ফেডারেশন হবে প্রশাসনিকভাবে সুবিধাজনক অঞ্চলভিত্তিক, নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত অঞ্চলভিত্তিক নয়। কেন্দ্রীয় আইনপরিষদ হবে এককক্ষ বিশিষ্ট এবং ২৪৫ টা আসন থাকবে তাতে। ফেডারেশন এবং রাজ্যের আলাদা আলাদা নির্বাচনে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হবেন নির্বাহী প্রধান। এবং তাতে এমন বিধান থাকবে যে, ‘জনগণের ইচ্ছায়’ তাদের মেয়াদ শেষ হবার আগেই ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করা যায়। কেন্দ্রীয় আইনপরিষদে প্রতিনিধিত্ব থাকা সব দলের সমন্বয়ে গঠিত হবে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্য সরকারের বেলায়ও তা-ই। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য, দুই আইনপরিষদই হবে বিরোধীদল বিহীন। মাওবাদীদের তরফে এমন প্রস্তাবের ফলে বিতর্ক এখন আর শুধু ফেডারেশন কিম্বা একক রাষ্ট্রের বা রিপাবলিকান পদ্ধতি বা পার্লামেন্টারি পদ্ধতিতে সীমিত থাকবে না। বরং রাজনৈতিক আলোচনার মাধমে এখন নির্বাচন পদ্ধতি, ফেডারেশন গঠন করার ভিত্তি, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা এবং বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত ও ফেডারেশনের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের বাইরের শাসনব্যবস্থা সর্বোপরি বিরোধী দলবিহীন ঐক্যমত্যের কেন্দ্রীয় আইনসভার মতো বিষয় রাজনৈতিক আলোচনার মধ্য দিয়ে সুরাহা করতে হবে নেপালকে।

নেপালি কংগ্রেস বরাবরই ফেডারেল রাষ্ট্র পদ্ধতির বিরোধিতা করে এসেছে এবং বহুদলীয় পার্লামেন্টারি পদ্ধতির বাইরে অন্য কোনো সরকারপদ্ধতিতে তারা রাজি না। এবং নেপালের মার্কসবাদী লেনিনবাদী সংযুক্ত কমিউনিস্ট দলও সরকারপদ্ধতি হিশাবে বহুদলীয় পার্লামেন্টারি পদ্ধতি থেকে সরে আসবে না বলে বারবার জানিয়েছে, যদিও ফেডারেশন ভিত্তিক রাষ্ট্রের বিষয়ে তারা কিছুটা নরম অবস্থানে আছে। এসব মৌলিক বিষয়ে আগের চেয়ে তীব্র মতবিরোধ আশংকা করছি আমরা। নানা বিষয়ে চরম বিরোধ থাকলেও এতদিন মাওবাদীদের ফেডারেশন ধারণা’র সমর্থন করতো নেপালি জনগোষ্ঠীর চেয়ে আলাদা নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী--মধ্য নেপালের তরাই সমভূমি অঞ্চলের মাদেশী জনগোষ্ঠী কেন্দ্রিক রাজনৈতিক দলগুলা। কিন্তু মাওবাদীরা গতকালের প্রস্তাবে যে ফেডারেশনের কথা বলছে তাতে রাজ্যগুলার সীমানা নির্ধারিত হবে প্রশাসনিকভাবে সুবিধাজনক অঞ্চলের ভিত্তিতে। এটা হলে পরে তা মাদেশী জনগোষ্ঠীর কোনো কাজে আসবে না, একইভাবে কাজে আসবে না গোর্খা জনগোষ্ঠীরও। তারা চাচ্ছে নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকার ভিত্তিতে রাজ্য গঠিত হোক। এমনকি মাওবাদী দলের মধ্যেও এমন অনেকে আছেন যারা নৃতাত্ত্বিক ভিত্তিতে ফেডারেশান চান--গত মাওবাদী সরকারের মন্ত্রী দেব গুরুং হচ্ছেন তাদের একজন। ফলে অন্য আর কোনো রাজনৈতিক দলগুলাকে এ বিষয়ে মিত্র হিশাবে পাওয়ার সম্ভাবনা আপাতত দেখা যাচ্ছে না, বরং নিজের দলের মধ্যেই অন্তত এই একটা বিষয়ে বিরোধিতার মুখে পড়বে তারা।


ছাপবার জন্য এখানে ক্লিক করুন



৫০০০ বর্ণের অধিক মন্তব্যে ব্যবহার করবেন না।